Sunday, October 12, 2014

খাদ্যাভাসে বাড়বে পুরুষের শুক্রাণু

ঢাকা: প্রযুক্তির বিকাশে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়ে আসলেও কমে যাচ্ছে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা। ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য। যা থেকে বিচ্ছুরিত নানা রকম র‌্যাডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা। কমে যাচ্ছে শুক্রানুর মানও। তাই একটি সন্তানের আশায় অনেক দম্পতিকেই বছরের পর বছর ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে দেখা যায়। অথচ দৈনিক খাবার তালিকায় কিছু খাবারের সংযোজনই পারে পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ এবং গুণগত মান বাড়াতে।
ইতালির তুরিন শহরের এক হাসপাতালে জরিপ চালিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দৈনিক মাত্র সাতটি কাঠবাদামে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতার উন্নতি সাধন করবে বহুলাংশে। শুধু কাঠবাদামই নয়, যে কোন ধরণের বাদামই শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে সাহায্য করে বলে ওই জরিপে উঠে এসেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। এরপর একদলের দৈনিক খাদ্য তালিকায় সাতটি বাদাম যুক্ত করা হয় এবং অপর দলকে বেশি করে সামুদ্রিক মাছ এবং শস্য জাতীয় খাদ্য দেয়া হয়। দ্বিতীয় দলের খাদ্য তালিকা থেকে প্রক্রিয়াকরণ মাংস ও অন্যান্য খাদ্য বাদ দেয়া হয়। তবে প্রথম দলের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকা বলবৎ থাকে। নির্দিষ্ট সময় পরে দেখা যায়, উভয় দলেরই প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে এবং শারীরিক প্রদাহ কমেছে।
এছাড়াও টমেটোর রয়েছে এব্যপারে কার্যকরী ভূমিকা। গাড় লাল রঙের টমেটো পুরুষের দেহে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বাড়ায়। টমেটো খেলে পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে বলে সম্প্রতি ব্রিটেনের ইনফার্টিলিটি নেটওয়ার্কের করা এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়। গবেষণাটি ব্রিটেনের প্রতি ছয়জনের একজন নিঃসন্তান দম্পতির মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। আশা করা হচ্ছে এতে করে তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বাড়বে। ইনফাটিলিটি নেটওয়ার্কের মুখপাত্র কারেন ভেনেসেস বলেন, এই গবেষণা প্রতিবেদনে আমরা সত্যিই আশাবাদী।
বাংলামেইল২৪ডটকম/টিটি

Monday, September 8, 2014

ভারতীয় সিরিয়ালের ১৩টি আজগুবি ঘটনা



সেপ্টেম্বর : ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর আগ্রাসনে দেশীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই হুমকির মুখে। আমাদের দেশের নারীরা সন্ধ্যার পরেই পৃথিবীর সব কাজ বাদ দিয়ে টিভির সামনে বসে পড়েন শুধু মাত্র ভারতীয় সিরিয়াল দেখার নেশায়। ভারতীয় সিরিয়ালের গতানুগতিক এবং আজগুবি কাহিনীগুলো বছরের পর বছর মুগ্ধ হয়ে দেখছেন অধিকাংশ নারী। বাস্তব জীবনে কখনই হওয়া সম্ভব না এমন ঘটনাগুলোই নিয়মিত দেখতে দেখতে একটা পর্যায়ে মগজ ধোলাই হয়ে যেতে থাকে তাদের। ফলে কোনটা বাস্তব আর কোনটা গাঁজাখুরি সেই পার্থক্য করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন ভারতীয় সিরিয়ালের নিয়মিত দর্শকরা। জেনে নেয়া যাক কিছু আজগুবি এবং অসম্ভব ঘটনা সম্পর্কে যেগুলো অহরহই দেখানো হচ্ছে ভারতীয় সিরিয়ালে।
) নায়ক নায়িকা প্রেম করে বিয়ে করে। কিছুদিনের মাঝেই শুরু হয় সন্দেহ এবং অশান্তি, পরিণতি হয় ডিভোর্স। এরপর নায়ক বিয়ে করে নায়িকার বোনকে। এরপর নায়ক তার ভুল বুঝতে পারে এবং অনেক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে হয় দুই বৌকেই রাখে, না হয় নায়িকার বোনকে আবারও ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় বিয়ে করে নায়িকাকে।
) অনেক বড়লোক ব্যক্তি হঠা করেই গরিব হয়ে যায় কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে। ফলে ঘরবাড়ি সব বিক্রি করে দেয় সেই খারাপ লোকের কাছে। অতঃপর থাকার কোনো যায়গা না পেয়ে চাকর হিসেবে থাকে সেই ব্যক্তির ঘরে!
)নারীরা ঘুমায়, গোসল করে এবং খায় ভারী গহনা আর জমকালো পোশাকে। কখনই মেকআপ ফ্যাকাসে হতে দেখা যায়না তাদের।
) একজন পুরুষের জন্য /৬জন নার আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়। এই একজন পুরুষকে ঘিরেই চলতে থাকে নারীদের কুটনামি।
) সন্তান হওয়া মানেই বিশাল বিপদ। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য যেসব বিপদ হতে পারে সেগুলো হলোবাচ্চার বাবা স্বীকার করবে না এটা তার সন্তান, গর্ভাবস্থায় সিড়ি থেকে পড়ে যাওয়া, জন্ম দিয়ে গিয়ে মায়ের মৃত্যু, হাসপাতালেই বাচ্চা হারিয়ে যাওয়া।
) নাটকের সংলাপের চাইতে ব্যাকগ্রাউন্ডের মিউজিক অনেক বেশি।
) নাটকের মূল নায়িকার জীবনটা কখনই সুখের হয়না। তার জীবনেসুখশব্দটার উপস্থিতি কখনই রাখা হয়না ভারতীয় সিরিয়ালে।
) নানি-দাদিরা নাতি-পুতি এবং এর পরের বংশধরদেরকেও দেখে যেতে পারেন বেশ সুস্থ সবল ভাবেই।
) সব নাটকের একটিই মন্দির থাকে। এবং কাউকে খুঁজতে হলে এই মন্দিরে গেলেই খুঁজে পাওয়া যায়।
১০) সিরিয়ালের নায়ক/নায়িকা মারা গেলে পরিবারে নেমে আসে দুঃখ। কিন্তু কিছুদিন পরেই জানা যায় যে সে আসলে মারা যায়নি। নায়ক/নায়িকা প্লাসটিক সার্জারি করে বদলে ফেলানো চেহারা অথবা আগের চেহারা নিয়েই ফিরে আসে পরিবারের কাছে।
১১) প্রতিটি সিরিয়ালেই হয় ঘরের বৌ খারাপ হয় না হয় শাশুড়ি। একসঙ্গে বৌ-শাশুড়ি দুজনই ভালো, এই দৃশ্য দেখা যায় না ভারতীয় সিরিয়াল গুলোতে।
১২) ছেলে বৌ, শাশুড়ি এবং দাদী শাশুড়ির বয়সে তেমন কোনো পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না।
১৩) অশুভ কিছু ঘটা মানেই প্রদীপের বাতি নিভে যাওয়া অথবা হাত থেকে কিছু পড়ে যাওয়া।

Sunday, August 31, 2014

নামাজের স্বাস্থ্য উপকারিতা



ঢাকা, আগস্ট ৩১: মুসলমানদের ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের হুকুম দিয়েছেন মহান আল্লাহ। কিন্তু অনেকে নামাজ আদায়ে বিভিন্ন ধরণের অজুহাত দেখায়। কেউ কেউ বলে থাকেন পায়ে ব্যাথা, কোমড়ে ব্যাথা আরো কতো কি। যার জন্য নামাজ পরতে পারি না। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা নামাজের উপকারিতা সর্ম্পকে। নামাজের উপকারিতা বলতে পরকালের শান্তির কথাই আমরা মনে করি। আসলে শুধু তাই নয় নামাযে রয়েছে অসাধারণ সব স্বাস্থ্য উপকার।
এবার আপনাদের জানাবো বিজ্ঞান প্রমাণিত নামাযের সব স্বাস্থ্য উপকার:
নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের সৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।
নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়-নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়।এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
নামাজের মাধ্যমের আমাদের মনের অসাধারন পরিবতন আসে।
নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে য়ায।
কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।
নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
শেয়ারনিউজ২৪//১৬৩৫ঘ.

Saturday, August 30, 2014

মোবাইলে শারীরিক বিপর্যয়



মোবাইল ফোনের ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, অমনোযোগিতা এবং হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়।
সমকাল ডেস্ক

মোবাইলে শারীরিক বিপর্যয়


মোবাইল ফোন ছাড়া একটা দিনও পার করা কঠিন আজকাল। প্রয়োজনে কাজে লাগার পাশাপাশি আপনার নিত্যসঙ্গীটি কিন্তু অজান্তেই দেহের জৈব রাসায়নিক বেশকিছু পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এমন মন্তব্য চিকিসা বিশেষজ্ঞদের। শুধু ক্যান্সার সংক্রমণের আশঙ্কাই নয়, মোবাইল ফোনের ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, অমনোযোগিতা এবং হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়।


এমনটাই জানালেন ভারতের নয়াদিল্লির মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের তেজস্ক্রিয় ক্যান্সার বিষয়ের অধ্যাপক মনোজ শর্মা। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে 'মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা এবং স্বাস্থ্য' বিষয়ক এক আলোচনায় তিনি জানান, স্বাস্থ্যের ওপর এটির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা এখনও হয়নি। মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সেটা মস্তিষ্কের কাছাকাছি থাকে বলব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বিষয়টির ভয়াবহতা নিয়ে কারও মধ্যেই দুশ্চিন্তা নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক শর্মা বলেন, 'দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটাও হয়তো তামাকের মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে। ভারতের মোবাইল অপারেটরদের উচিত তেজস্ক্রিয়তা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা।'

একই কলেজের অধ্যাপক নরেশ গুপ্ত বলেন, 'এখন পর্যন্ত সংক্রান্ত সব গবেষণাই করেছে বেসরকারি মোবাইল পাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই সেগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।'

তবে সবকিছুর পরেও কথা রয়েই যায়। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের প্লাস্টিক সার্জন এস বি গোগিয়া মনে করেন, 'দেহের ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব ইতিবাচক। দুর্ঘটনা বা কোনো চিকিসা বিষয়ক জটিলতা- এমন অনেক ক্ষেত্রেই যন্ত্রটি কিন্তু আমাদের জীবন বাঁচিয়েছে।' সূত্র: জি নিউজ

Monday, August 18, 2014

কিডনির ক্ষতি করে যে কাজ


 

ঢাকা, আগস্ট ১৮: মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। এটি আমাদের রক্তকে বিশুদ্ধ করে, হরমোন ৎপন্ন করে, মূত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং আরো নানান রকমের জরুরি কাজ করে থাকে কিডনি।
শরীরের এই প্রয়োজনীয় অঙ্গের দরকার বিশেষ যত্ন। কিন্তু নানান অবহেলা ভুলের কারণে প্রতিনিয়তই ক্ষতি হচ্ছে আমাদের কিডনি। অথচ সামন্য কিছু বিষয় সম্পর্কে সচেতন হলেই মারাত্মক সব ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবো এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
এবার আসুন জেনে নিন কিডনির ক্ষতিকর যে কাজগুলো:

পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া: কিডনির মূল কাজ হলো শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে কিডনি তার কাজ ঠিক মতো করতে পারেনা। ফলে কিডনির ক্ষতি হয়। তাই কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। প্রচুর লবণ খাওয়া
অতিরিক্ত লবন খাওয়া: অনেকেই খাবারের সাথে প্রচুর লবণ খেয়ে থাকেন। লবণ শরীরের জন্য জরুরি হলেও প্রতিদিন গ্রামের বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং কিডনির ক্ষতি হয়।
মূত্রত্যাগে বিলম্ব করা: পাবলিক টয়েলেট ব্যবহার এড়ানোর জন্য অনেকেই মূত্রচাপ থাকলেও মূত্রত্যাগ করেন না। নিয়মিত বিলম্বে মূত্রত্যাগ করার ফলে কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হয় এবং কিডনি অকেজো হওয়া পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার: যারা অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খায় কিংবা কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের মূত্রের সাথে প্রোটিন নির্গত হয় যা কিডনির জন্য ঝুকিপূরণ।
ভিটামিন মিনারেলের অভাব: প্রচুর শাকসবজি ফলমূল খেলে কিডনি ভালো থাকে। ভিটামিন বি ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ: অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনির মেটাবোলিক চাপ বেড়ে যায়। যত বেশি প্রোটিন গ্রহণ করবেন কিডনির উপর চাপ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। ফলে কিডনি দ্রুত অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।
ঘুমের ব্যাঘাত: রাতে ঘুমানোর সময়টাতে কিডনির ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু গুলো সেরে ওঠে। তাই রাতে ঠিক মতো না ঘুমালে শরীরের বিশ্রাম হয় না এবং কিডনির ক্ষতি হয়।
অতিরিক্ত পেইন কিলার গ্রহণ: কারো কারো একটুখানি ব্যাথাতেই পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস আছে। ঘন ঘন অতিরিক্ত পেইন কিলার খেলে দ্রুত কিডনি লিভার নষ্ট হয়ে যায়।
অতিরিক্ত কফি খাওয়া: কফি রক্তচাপ কিছুটা বাড়িয়ে দেয় এবং কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। ফলে যাদের দিনে দুই কাপের বেশি কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের কিডনি দ্রুত অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে এবং কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে লিভারেরও ক্ষতি হয়। তাই কিডনি ভালো রাখতে চাইলে মদ্যপান যাগ করা ভালো।

শেয়ারনিউজ২৪//১৮০০ঘ.
ঢাকা, আগস্ট ১৮: মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। এটি আমাদের রক্তকে বিশুদ্ধ করে, হরমোন উৎপন্ন করে, মূত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং আরো নানান রকমের জরুরি কাজ করে থাকে কিডনি।

শরীরের এই প্রয়োজনীয় অঙ্গের দরকার বিশেষ যত্ন। কিন্তু নানান অবহেলা ও ভুলের কারণে প্রতিনিয়তই ক্ষতি হচ্ছে আমাদের কিডনি। অথচ সামন্য কিছু বিষয় সম্পর্কে সচেতন হলেই মারাত্মক সব ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবো এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।

এবার আসুন জেনে নিন কিডনির ক্ষতিকর যে কাজগুলো:


পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া:
কিডনির মূল কাজ হলো শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে কিডনি তার কাজ ঠিক মতো করতে পারেনা। ফলে কিডনির ক্ষতি হয়। তাই কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত।
প্রচুর লবণ খাওয়া

অতিরিক্ত লবন খাওয়া:
অনেকেই খাবারের সাথে প্রচুর লবণ খেয়ে থাকেন। লবণ শরীরের জন্য জরুরি হলেও প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং কিডনির ক্ষতি হয়।

মূত্রত্যাগে বিলম্ব করা:
পাবলিক টয়েলেট ব্যবহার এড়ানোর জন্য অনেকেই মূত্রচাপ থাকলেও মূত্রত্যাগ করেন না। নিয়মিত বিলম্বে মূত্রত্যাগ করার ফলে কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হয় এবং কিডনি অকেজো হওয়া ও পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার:
যারা অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খায় কিংবা কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের মূত্রের সাথে প্রোটিন নির্গত হয় যা কিডনির জন্য ঝুকিপূর্ণ।

ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব:
প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খেলে কিডনি ভালো থাকে। ভিটামিন বি ৬ ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ:
অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনির মেটাবোলিক চাপ বেড়ে যায়। যত বেশি প্রোটিন গ্রহণ করবেন কিডনির উপর চাপ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। ফলে কিডনি দ্রুত অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।

ঘুমের ব্যাঘাত:
রাতে ঘুমানোর সময়টাতে কিডনির ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু গুলো সেরে ওঠে। তাই রাতে ঠিক মতো না ঘুমালে শরীরের বিশ্রাম হয় না এবং কিডনির ক্ষতি হয়।

অতিরিক্ত পেইন কিলার গ্রহণ:
কারো কারো একটুখানি ব্যাথাতেই পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস আছে। ঘন ঘন অতিরিক্ত পেইন কিলার খেলে দ্রুত কিডনি ও লিভার নষ্ট হয়ে যায়।

অতিরিক্ত কফি খাওয়া:
কফি রক্তচাপ কিছুটা বাড়িয়ে দেয় এবং কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। ফলে যাদের দিনে দুই কাপের বেশি কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের কিডনি দ্রুত অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মদ্যপান:
অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে এবং কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে লিভারেরও ক্ষতি হয়। তাই কিডনি ভালো রাখতে চাইলে মদ্যপান ত্যাগ করা ভালো।


শেয়ারনিউজ২৪/অ/১৮০০ঘ.
- See more at: http://sharenews24.com/index.php?page=details&nc=53&news_id=43712#sthash.urp3jbVv.dpuf

এক গাছে ৪০ ধরণের ফল!


 

ঢাকা, আগস্ট ১৬: একেক গাছে একেক প্রকার ফল ধরে এটা সবার জানা। আর এক গাছে দুই ধরণের ফল! এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই না। কিন্তু যদি বলি এক গাছে ৪০ ধরণের ফল! এটা কি বিশ্বাস করার মতো। হ্যাঁ পাঠক বিচলিত হওয়ার কিছু নাই।

সম্প্রতি এমন এক সংবাদ দিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। মানুষের তৈরি একটি গাছে ৪০ রকমের ফল ধরে! প্রত্যেক ফলের ডালে নিজ নিজ মৌসুমে ফুল আসছে এবং ফল ধরছে। আর সব ফলগুলোই খাওয়ার যোগ্য।

সিরাকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস এর একজন স্কাল্পচার প্রফেসর যান ভ্যান অ্যাকেন। একটি গাছের জন্ম দিতে নয় বছর পার করেছেন। তার বিশাল পরিকল্পনায় সময় খুবই কম ছিল। কারণ গোটা ফলের বাগানকে তিনি একটি গাছে পরিণত করেছেন।

এই গাছটি তৈরি করতে তিনি গ্রাফটিং পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। এই পদ্ধতিতে শত বছর ধরে মানুষ এক গাছের সঙ্গে অন্য গাছের মিলন ঘটিয়েছে। পদ্ধতিতে দুটো গাছের ডালকে এমনভাবে জুড়ে দেওয়া হয় যাতে দুটো ভিন্ন গাছের শিরা-উপশিরা অন্যটির মধ্যে প্রবাহিত হয়, ঠিক দুটো রক্তনালীকে মিলিয়ে দেওয়ার মতোই। এই নালী দুটোকে বলা হয় লোয়েম এবং জাইলেম। এই পদ্ধতিতে দুটো গাছ তাদের পানি, চিনি এবং খনি পদার্থ বিনিময় করে। গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে কোনো দুর্বল গাছ অন্য শক্তিশালী গাছের বিভিন্ন উপাদান গ্রহণ করে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যদিও গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে একাধিক গাছগুলোকে জুড়ে দেওয়া যায়, তবে ৪০টি গাছকে এক করা প্রায় অসম্ভব। এর জন্য বছরের পর বছর সময় দেওয়ার পরও ব্যর্থতা আসতে পারে।

প্রফেসর যা করেছেন তা হলো, একটি গাছ নিয়ে তিনি তা - বছর ধরে পরিচর্যা করেছেন। এর ডাল-পালা পরিপুষ্ট হলে -৫টি কেটে নিয়ে সেখানে অন্য ফলের -৫টি ডাল গ্রাফট করেছেন। এভাবে ২০-২৫টি ভিন্ন ভিন্ন গাছের অংশ জুড়ে দেওয়ার পর পরিচর্যা করতে হয়েছে। প্রায় বছরের পরিচর্যায় নতুন অংশগুলো অন্যের সঙ্গে খনিজ আদান-প্রদানে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। তারা প্রত্যেকেই যেনো একটি গাছের অংশ হয়ে যায়। এরপর আরো নতুন ফলের অংশ জুড়ে দিতে থাকলেন ভ্যান অ্যাকেন। এভাবে চলতেই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না ৪০টি গাছ একে অপরের সঙ্গে জুড়ে যায়।

বিষয়প্রফেসর বলেন, জুড়ে দেওয়া নতুন নতুন ফলের ডাল তাদের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে এবং তাদের নিজস্ব ফুল ফল ৎপন্ন হচ্ছে। এই পদ্ধতির পেছনে যে বিজ্ঞান কাজ করে তা আসলে একটি গাছের উপজাত তৈরি করে। তবে আমার কাছে এটি গাছের অংলকার।

অ্যাকেনের এই পরিশ্রমের ফসল যা রিয়েছে তা হলো, এগ্রিকালচারের দুনিয়ায় গ্রাফটিংকে ভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। এই পদ্ধতি বিশ্বকে ক্ষুধা থেকে বাঁচাতে পারবে না, তবে ভিন্ন ধরনের চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অনেকে বলেই মনে করেনএক গাছে চল্লিশ ফলএর যাদুকর ভ্যান অ্যাকেন।

এই গাছে ভিন্ন ভিন্ন ফল আসার সময় তাদের রং ঠিক রাখার জন্য তিনি সঠিক সময়ে তাদের গ্রাফটিং করেছেন বলেও জানান।

তবে ¯্রফে গ্রাফটিংয়ের সফলতাকে চূড়ায় নিতেই কী এই কাজ করেছেন তিনি? আসলে তা মোটেও নয়। ভ্যান জানালেন, /১১ এর পর মানব জাতির বেঁচে থাকা, আশাবাদ এবং সবকিছুকে নতুনভাবে ধারণ করার প্রত্যাশা নিয়েই এই গাছের জন্ম। কিন্তু ৪০ সংখ্যাটি কেনো? এরও কারণ রয়েছে। সংখ্যাটি সসীম অসীমের মাঝামাঝি কোনো একটি সংখ্যা। আবার বাইবেলেও ৪০ সংখ্যাটিকে অগণ্য জনপ্রিয় সংখ্যা হিসেবে দেখানো হয়েছে। (সূত্র: ইন্টারনেট)


শেয়ারনিউজ২৪//১৬৫০ঘ.