Thursday, June 12, 2014

জামের উপকারিতা

ঢাকা, জুন ১২: ফলের ভান্ডারে ভরা আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। আমাদের দেশে অন্যান্য সব ফলের মধ্যে জাম অন্যতম। অন্যসব মৌসুমি ফলের তুলনায় জামের স্থায়ীকাল কম হলেও এটি পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। জামে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, স্যালিসাইলেট, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফুকটোজসহ অসংখ্য উপাদান। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক জামের উপকারিতা সম্পর্কে।

গ্লুকোজ:
গ্লুকোজ মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফুকটোজ মানুষের কাজ করার শক্তি যোগায়। 

শর্করা:
জাম ডায়বেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখে।

স্যালিসাইলেট:
স্যালিসাইলেট নামক উপদানটি মানব শরীরের ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।

কোলস্টোরেল:
জাম রক্তের কোলস্টোরেলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ড ভালো রাখে। এছাড়া শরীরের দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ভিটামিন সি ও এ:
ভিটামিন ‘সি’ ঠা-া, কাশি ও টনসিল প্রতিরোধ করে। ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে তোলে।
চুল, ত্বক ও দাঁত:
জাম চুল পাকা বন্ধ করে এবং ত্বক ও দাঁত ভালো রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: 
জামে বিদ্যমান ফাইবার বা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
সতর্কতা: খালি পেটে জাম খাবেন না এবং জাম খাওয়ার পর দুধ খাবেন না।
শেয়ারনিউজ২৪/অ/১৬১০ঘ. 

No comments:

Post a Comment