Sunday, June 15, 2014

স্বামী-স্ত্রীর ব্ল্যাড গ্রুপ সংক্রান্ত সর্তকতা

ঢাকা, জুন ১৫: বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি আমরা, কিন্তু ভুলে যাই সব চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ সংক্রান্ত বিষয়টি আসুন জেনে নেয়া যাক জরুরী কিছু তথ্যঃ

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত ব্লাড গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎRh factor ঠিক করবে ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে। তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ
A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.


জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে?

যখন কোনো জয নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে জয পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারনত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাডcell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারণে অনেক সমস্যা হবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility.

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?

স্বামীর ব্লাড গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ ও পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর ব্লাড গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর ব্লাড গ্রুপ ও নেগেটিভ হতে হবে।

যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?

রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারণত বাচ্চার ব্লাড গ্রুপ ও পজেটিভ হবে। 

যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus (ভ্রুন) তখন সাধারণত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভFetus এর ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবংplacental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে জয এন্টিবডি তৈরী করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তারfetus এর ব্লাড গ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয়। 

তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেইRh এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরেRh antibody ঢুকবে তখনfetal এরRBC এর সঙ্গেagglutination হবে, যার ফলেRBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে।


শেয়ারনিউজ২৪/এফএম/১২৪২

No comments:

Post a Comment