মোবাইল
ফোনের ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, অমনোযোগিতা এবং হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়।
সমকাল
ডেস্ক
মোবাইল
ফোন ছাড়া একটা দিনও পার করা কঠিন আজকাল। প্রয়োজনে কাজে লাগার পাশাপাশি আপনার এ নিত্যসঙ্গীটি কিন্তু অজান্তেই দেহের জৈব রাসায়নিক বেশকিছু পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এমন মন্তব্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের। শুধু ক্যান্সার সংক্রমণের আশঙ্কাই নয়, মোবাইল ফোনের ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, অমনোযোগিতা এবং হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়।
এমনটাই
জানালেন ভারতের নয়াদিল্লির মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের তেজস্ক্রিয় ক্যান্সার বিষয়ের অধ্যাপক মনোজ শর্মা। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে 'মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা এবং স্বাস্থ্য' বিষয়ক এক আলোচনায় তিনি জানান, স্বাস্থ্যের ওপর এটির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা এখনও হয়নি। মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সেটা মস্তিষ্কের কাছাকাছি থাকে বলে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বিষয়টির
ভয়াবহতা নিয়ে কারও মধ্যেই দুশ্চিন্তা নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক শর্মা বলেন, 'দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটাও হয়তো তামাকের মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে। ভারতের মোবাইল অপারেটরদের উচিত তেজস্ক্রিয়তা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা।'
একই
কলেজের অধ্যাপক নরেশ গুপ্ত বলেন, 'এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সব গবেষণাই করেছে বেসরকারি মোবাইল উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই সেগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।'
তবে
সবকিছুর পরেও কথা রয়েই যায়। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের প্লাস্টিক সার্জন এস বি গোগিয়া মনে করেন, 'দেহের ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব ইতিবাচক। দুর্ঘটনা বা কোনো চিকিৎসা বিষয়ক জটিলতা- এমন অনেক ক্ষেত্রেই এ যন্ত্রটি কিন্তু আমাদের জীবন বাঁচিয়েছে।' সূত্র: জি নিউজ।
No comments:
Post a Comment